তৈয়বুর রহমান কিশোর, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সোতালিয়া গ্রামের ননী গোপাল রায়ের বিরুদ্ধে সরকারী রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। তবে ননী গোপাল রায় বলেন রুপাপাত ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি পিকুল হোসেন গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, পিকুলকে গাছ কাটতে নিষেধ করা হয়েছিল। সে বলে কিছু হবে না। পিকুল হোসেন দীর্ঘদিন ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পিকুল হোসেন কাটাগর দেওয়ান শাগের শাহ দাখিল মাদরাসার অফিস সহায়ক পদে চাকুরী করে ও রুপাপাত ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি। পিকুল হোসেন মাদরাসায় নিয়মিত থাকেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সরজমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলার সহস্রাইল কালিনগর রাস্তার সোতালিয়া গ্রামের ননী গোপালের বাড়ির পাশে রাস্তার পাশে থাকা সরকারী বিভিন্ন প্রকারের ৬০ হাজার টাকা মূল্যের গাছ গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতের আধারে চুরি করে কেটে নেওয়া হয়েছে। গাছ কাটার সাথে সাথে গাছের গোড়া মাটি ফেলিয়ে ঢেকে দিচ্ছে মাটি ব্যবসায়ী পিকুল হোসেন।
গাছ কেটে ফসলি জমি থেকে ভেকু দিয়ে অবৈধ ভাবে মাটি কেটে গাছের গুড়াসহ রাস্তার পাশের জমি ভরাট করা হচ্ছে। এ ছাড়া এলাকায় বিভিন্ন ফসলি জমি থেকে নিয়মিত মাটি কেটে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছে সে। তার মাটি কাটার কারনে ওই এলাকায় ফসলি জমি কমে গিয়ে হুমকির মুখে পড়েছে কৃষকরা।
মাদরাসার পিন্সিপাল মো. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, পিকুল আমার প্রতিষ্ঠানের অফিস সহায়ক পদে চাকুরী করে। সে নিয়মিত মাদরাসায় থাকে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক সময় ছুটি নেন। এরপর আগে পরে করে মাদরাসায় আসে।
পিকুল হোসেন বলেন, যাদের বাড়ির সামনে গাছ তারা কেটেছে। আমি গাছ কাটিনি। আমার নামে গাছ কাটার অভিযোগটি সঠিক নয়। তবে মাটি ফেলছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারেফ হোসাইন বলেন, গাছ কাটার বিষয় ও ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার বিষয় খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।